পোস্টগুলি

জীবের জনন কার্য থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
  1.প্রজননের ক্ষেত্রে DNA প্রতিলিপিকরণের গুরুত্ব কী? উত্তর : কোশের নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমেই DNA এর উৎস যা প্রোটিন সৃষ্টির সংকেত বা বার্তা বহন করে, এবং জীবের দেহ গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। DNA প্রতিলিপি করণের মাধ্যমে হুবহু DNA তৈরি হয় এবং এর ফলেই একটি জীব থেকে সমধর্মী ও একই আকৃতির জীব তৈরি হয়। বিভিন্ন উৎসেচক কোশে DNA প্রতিলিপি করণে সাহায্য করে। এর ফলেই প্রত্যেক জীবের কোশ বিভাজিত হয়ে থাকে। DNA-এর প্রতিলিপিকরণের ফলেই জনিতৃ থেকে অপত্যে জিনগত তথ্য সঞ্চারিত হয়। 2. প্রজাতির ক্ষেত্রে প্রকরণ লাভদায়ক কিন্তু একক জীবের জন্য এটি প্রয়োজনীয় নয় কেন? উত্তর: পৃথিবীতে দুটি জীব কখনো এক হয়না। যত সামান্যই হোক না কেন তাদের মধ্যে অঙ্গ সংস্থানিক, শারীরবৃত্তীয় ইত্যাদি কোন না কোন পার্থক্য থেকে যায়, একে প্রকরণ বলে। পরিবর্তিত বা প্রতিকূল পরিবেশে প্রজাতির টিকে থাকার জন্য বা বেঁচে থাকার জন্য প্রকরণ প্রয়োজন। উদাহরণ স্বরূপ, নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী কোন যৌন জননকারী জীব বা প্রজাতি যারা সেখানে অনুকূল পরিবেশে বেঁচে থাকে এবং যখন সেখানে আবার প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়, তখন সেখানে প্রজাতি অবলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। যাই হউ

জীবন প্রক্রিয়া থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
  1.পরিপাকে উৎসেচকের ভূমিকা লেখ। উত্তর: প্রধানত প্রোটিন ধর্মী দ্রবণীয় জৈব অনুঘটক যা সজীব কোশে উৎপন্ন হয়ে কোশের ভিতরে অথবা কোশের বাইরে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত বা মন্দীভূত করে এবং বিক্রিয়া শেষে নিজেরা অপরিবর্তিত থাকে তাকে উৎসেচক বলে।             যেসব উৎসেচক পরিপাক ক্রিয়ায় অংশ নেয় তাদের পরিপাককারী উৎসেচক বলে। বিক্রিয়ক বা সাবস্ট্রেটের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে পরিপাককারী উৎসেচক তিন প্রকারের হয়, যেমন-         (1) অ্যামাইলোলাইটিক উৎসেচক : যেসব উৎসেচক শ্বেতসারের পরিপাকে সাহায্য করে অর্থাৎ গ্লুকোজে পরিণত করে তাদের অ্যামাইলোলাইটিক উৎসেচক বলে। উদাহরণ – টায়ালিন বা লালারসের অ্যামাইলেজ, অগ্ন্যাশয় রসের অ্যামাইলেজ ইত্যাদি।         (2) প্রোটিও লাইটিক উৎসেচক : যেসব উৎসেচক প্রোটিন পরিপাকে অংশ নিয়ে তাকে পেপটোনে বা পলিপেপটাইড বা অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত করে তাদের প্রেটিওলাইটিক উৎসেচক বলে।         উদাহরণ – পাকস্থলী নি:সৃত পাচক রসের পেপসিন, অগ্ন্যাশয় রসের ট্রিপসিন, আম্ব্রিক রসের ইরেপসিন ইত্যাদি।        (3) লাইপোলাইটিক উৎসেচক : যেসব উৎসেচক ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাকে সাহায্য ক

জৈব বিবর্তনের থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
  1. ঘোড়ার বিবর্তনের ধারা জানতে জীবাশ্ম কীভাবে সাহায্য বুঝিয়ে দাও। উত্তর: ঘোড়ার বিবর্তনের ধারা জানতে জীবাশ্মের ভূমিকা :      এ পর্যন্ত যে-সমস্ত প্রাণীর বিবর্তনের ইতিহাস বিস্তৃতভাবে জানা সম্ভব হয়েছে তাদের মধ্যে ঘোড়ার বিবর্তনের ইতিহাস আদর্শ ও সম্পূর্ণ। ঘোড়ার জীবাশ্ম পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় ঘোড়ার উচ্চতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আঙুলের সংখ্যার হ্রাস ঘটেছে। ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ইয়োহিপ্পাস। ঘোড়ার এই পূর্বপুরুষ পৃথিবীতে বসবাস করেছিল প্রায় 6 কোটি বছর পূর্বে যার অগ্রপদে আঙুল ছিল চারটি এবং পশ্চাৎপদে আঙুল ছিল তিনটি এবং উচ্চতা ছিল 11 ইঞি। ইয়োহিপ্পাস-এর পর আগমন ঘটে মেসোহিপ্পাসের। মেসোহিপ্পাসের উচ্চতা ছিল 24 ইঞ্চি এবং এর সব পায়েই তিনটি করে আঙুল ছিল মেসোহিপ্পাসের পর মেরিচিপ্পাস-এর আগমন ঘটে; তারপর প্লিয়োহিপ্পাস। এদের উচ্চতা ছিল যথাক্রমে 40 ইঞ্চি ও 50 ইঞি। মেরিচিপ্পাস ও প্লিয়োহিপ্পাস উভয়েরই পায়ের আঙুলসমূহ মাটি স্পর্শ করত না। সর্বশেষে আগমন ঘটে বর্তমান ঘোড়া ইকুয়াস-এর। এর উচ্চতা হল 60 ইঞ্চি। ইকুয়াসের প্রতিপদে ক্ষুর দ্বারা আবৃত একটিমাষন আঙুল বর্তমান, পাশের আঙুলসমূহ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ছোট

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

ছবি
  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (Ishwar Chandra Vidyasagar) ভারতীয় বিদ্যাসাগর ছিলেন যিনি ১৮২০ সালে, মানিকগঞ্জ জেলার বেলকুড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন এবং সাহিত্য, শিক্ষা, পাঠকতা, সমাজ সুধার এবং নারী সমানতা বিষয়ে তাঁর গবেষণা এবং প্রচার করেন। বিদ্যাসাগরের জীবনের অবধি তিনি অসাধারণ কাজ করেন সাহিত্যিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে। তিনি নিজেই সাহিত্য রচনা করেন, পণ্ডিত এবং অনেকগুলি পাঠকের জন্য পাঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সাহিত্যিক কাজ তিনি বাঙালি সাহিত্যে উত্তরণ করেন এবং রচিত কৃতিত্বের মধ্যে তাঁর কাব্য, নাটক, গদ্য আদি রয়েছে। বিদ্যাসাগর একজন জীবনমুক্ত মানুষ ছিলেন এবং তিনি অত্যাধুনিক সামাজিক মূল্যায়নের ব্যাপারে জ্ঞান প্রচার করেন। তিনি বিধবা বিবাহিত নারীদের মারাত্মক দণ্ডনীয়তা প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেন এবং নারী শিক্ষার সামাজিক মূল্যায়ন বৃদ্ধি করতে তাঁর সমস্ত পরিশ্রম দিয়েন। তিনি বইপত্রের অনুবাদ ও প্রচারণায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। বিদ্যাসাগরের বিশেষ অবদানের মধ্যে তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল বিধবা বিবাহ নিষেধ কানুনের সংশোধন। তিনি এই সং

মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

ছবি
মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য : মাইকেল মধুসূদন দত্ত (জন্ম: 1824) একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও পরিচালক ছিলেন। তিনি হিসার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ছিলেন, যা একটি গ্লোবাল ব্যবসা সংগঠন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার পরিবার ভারতের স্বতন্ত্র অবস্থানের পরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে। তিনি শিক্ষাগতভাবে যোগ্যতা অর্জন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং তারপরে ইউনিভার্সিটি অব ডেলহি থেকে অর্থনৈতিক সাহিত্য পাঠকরা করেন। মাইকেল দত্তের ব্যবসায়িক করিয়ার শুরু হয় তিনি আপারেল ১৯৭১ সালের দশকে, যখন তিনি হিসার এবং একটি নতুন পরিচালিত কোম্পানির গঠন করেন। এই কোম্পানিটি পরবর্তীতে হিসার গ্রুপ হয়ে উন্নত হয়ে উঠে, এবং এটি একটি বিশ্বব্যাপী কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত হয়। মাইকেল দত্ত এর নেতৃত্বে হিসার গ্রুপ বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিভাগে ব্যবসা চালান। এটি পানিপূর্ণতা ও পানিতে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞতা সংক্রান্ত উন্নত পণ্য উত্পাদন, পরিবহন ও কোনও সরবরাহ মূল্যবান পানিতে নির্ভরযোগ্যতা বিকাশে কাজ করে। সাধারণত, মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন ব্যবসায়িক ও অধিনায়ক হিসার গ্রুপের প্রশাসনিক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন চরিত্র

ছবি
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, লেখক, শিল্পী ও সুরকার। তিনি ১৯শ শতকের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন এবং একজন বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন সম্পর্কে নিম্নলিখিত ৩০০টি বাক্যে আমি সংকলন করেছি: ১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ২. তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যস্ত ছিলেন। ৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা দ্বারিকনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন বিদ্যাসাগর। ৪. মাতা-পিতার প্রেমের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাও অপেক্ষা পেয়েছিলেন। ৫. তিনি বাংলা সাহিত্যে আছেন একজন অগ্রগামী এবং আনন্দদায়ক লেখক। ৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীল কাব্য নাটকে সক্রিয় অবদান রয়েছে। ৭. তিনি সুরকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যসমগ্র "কবিতাবলি" প্রকাশিত হয় ১৮৮০ সালে। ৯. তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ১০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাংলা নবজাগরণের একজন গুরু হিসেবে বিবেচিত হন। ১১. তিনি সম্প্রতি জাতীয় সঙ্গীত ও ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন আসরে প্রচারিত হচ্ছেন। ১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন নৈতিকতা ও মানবিকতা প্রেমিক ছিলেন। ১৩. তিনি বি

রসায়ন বিজ্ঞান

ছবি
রসায়ন বিজ্ঞান রসায়ন বিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের একটি শাখা যা পদার্থের স্বাভাবিক গঠন, গুণগত বৈশিষ্ট্য, বিচ্যুতি ও পরিবর্তন, মৌলিক অংশ ও রাসায়নিক বন্ধন সম্পর্কিত বিষয়গুলি অন্বেষণ করে। এটি মৌলিকভাবে পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও সম্পর্কিত বিষয়গুলির অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে নতুন বস্তু নির্মাণ ও বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। রসায়ন বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হলো পদার্থের সাধারণ বৈশিষ্ট্য, বিচ্যুতি ও রাসায়নিক বন্ধনের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা এবং এই জ্ঞানটি প্রযুক্তিগত ও প্রযুক্তিবিদ্যার জন্য ব্যবহার করা। রসায়ন বিজ্ঞান মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নতুন পদার্থ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করে এবং এই জ্ঞানটি ব্যবহার করে নতুন রাসায়নিক পদার্থ, যেমন বিভিন্ন মেদ অথবা পদার্থগুলির বিচ্যুতির সাথে সম্পর্কিত উন্নয়ন, নতুন মৌলিক যন্ত্রপাতি তৈরি, ঔষধ উন্নয়ন, পরিবেশগত প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইত্যাদি করে। রসায়ন বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক বিষয়গুলি হলো পদার্থের পরিবর্তন, বিচ্যুতি, মৌলিক অংশ, অণু, মৌলিক বন্ধন, রাসায়নিক বিক্রিয়া, পাদার্থিক পরিবর্তন, রাসায়নিক সম্পর্ক ও পদার্থের সংরক্ষণ। এছাড়াও রসায়ন বিজ্ঞানে বিভি

অ্যাসিড সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
 1. ‘অ্যাসিড মাত্রই হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগ, কিন্তু হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগ মাত্র অ্যাসিড নয়’—ব্যাখ্যা করো। উত্তর : অ্যাসিড মাত্রই হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ হলেও সকল হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ অ্যাসিড নয়। যেমন-অ্যামোনিয়া (NH), মিথেন (CH4) ইত্যাদি যৌগের মধ্যে H- পরমাণু থাকলেও এরা অ্যাসিড নয়। এর কারণ—(i) এই যৌগগুলির হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা ধাতু সদৃশ মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় না; (ii) জলীয় দ্রবণে এরা H+ আয়ন উৎপন্ন করে না এবং এরা নীল লিটমাস পেপারকে লাল করে না; (iii) ক্ষার বা ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এরা লবণ ও জল উৎপন্ন করে না। 2. H2O-কে অ্যাসিড বলা হয় না কেন? উত্তর : জল (H2O) হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ, কিন্তু এটি অ্যাসিড নয়। কারণ – (i) জল স্বাদে অম্ল নয় এবং ক্ষয়কারী নয়। (ii)জল নীল লিটমাসকে লাল করে না। (iii) ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়ায় জলের হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হলেও লবণ তৈরি হয় না,ক্ষার উৎপন্ন হয়। 3. বিশুদ্ধ জল তড়িৎ পরিবহন করে না কেন? অথবা, বিশুদ্ধ জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ হয় না কেন? উত্তর : বিশুদ্ধ জল অতি মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। তাই বিশুদ্ধ জলের খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিয়োজিত হয়

রসায়ন বিজ্ঞান থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
  1.রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের উদ্ভব কিংবা শোষণ হয় কেন?   উত্তর : যে-কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থের অণুগুলির বন্ধন ভেঙ্গে নতুন বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে বিক্রিয়াজাত পদার্থের অনুগঠন করে। রাসায়নিক বন্ধন ভাঙ্গার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয় (তাপ শোষিত হয়) এবং নতুন বন্ধন গঠনের সময় তাপের উদ্ভব ঘটে। এরূপে বন্ধন বিভাজন জনিত শোষিত তাপ এবং বন্ধন গঠন জনিত উৎপাদিত তাপের পরিমাণ সমান হয় না বলে কোনো কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া তাপগ্রাহী এবং কোনো কোনোটি তাপমোচী হয়। 2. যে-কোনো বিয়োজন বিক্রিয়া হল একটি তাপগ্রাহী বিক্রিয়া—ব্যাখ্যা করো।   উত্তর : যে-কোনো বিয়োজন বিক্রিয়ার সময় সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থের অণু সর্বদা তাপশক্তি গ্রহণ করে বিয়োজিত হয়। কিন্তু যে-সব বিক্রিয়ায় তাপ গৃহীত বা শোষিত হয় সেগুলিই হল তাপগ্রাহী বা তামমোচী বিক্রিয়া। অতএব যে-কোনো বিয়োজন বিক্রিয়া হল তাপগ্রাহী বিক্রিয়া। 3.সূর্যালোকে সাদা বর্ণের সিলভার ক্লোরাইড (AgCI)-কে খোলা অবস্থায় রেখে দিলে এর বর্ণের কীরূপ পরিবর্তন  ল ক্ষ করা যায় ? পরিবর্তনটি কোন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া—ব্যাখ্যা করো। উত্তর : সূর্যলোক

প্রকৃতিক বিজ্ঞান থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর।

ছবি
 প্রশ্ন : সৌর শক্তির ব্যবহার বর্ণনা করো। উত্তর : সৌর শক্তির ব্যবহার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল—           (১) সৌর শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এই বিদ্যুৎ ব্যাবহারিক জীবনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। যেমন—বাড়িঘর, রাস্তাঘাট প্রভৃতি আলোকিত করতে।           (২) সৌর শক্তির সাহায্যে স্বল্প পরিমাণ গরম জল উৎপাদন করে হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি স্থানে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।           (৩) রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে বা গরম জল করার কাজে, শীতপ্রধান অঞ্চলে ঘর গরম রাখার জন্য—সৌরশক্তি ব্যবহার হচ্ছে।           (৪) জল পরিশ্রুত এবং বাষ্পীভবনের সাহায্যে খাদ্যলবণ উৎপাদনে সৌর শক্তি ব্যবহার করা হয়।           (৫) গাড়ির বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ফটোভোল্টিক সেলের মাধ্যমে সৌর শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে সফলভাবে গাড়ি চালানোর কাজেও ব্যবহার শুরু হয়েছে।           (৬) কৃষিকাজে বা জল উত্তোলনের জন্য সৌর শক্তিচালিত জলসেচন পাম্প ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রশ্ন : জোয়ার-ভাটা শক্তির সম্পর্কে ধারণা দাও।        উত্তর : সমুদ্র বা নদীতে জোয়ার-ভাটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্য

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য।

ছবি
সাহিত্যিক হিসাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কিছু তথ্য:        বঙ্কিমচন্দ্রের তিরোধানের পর এক স্মরণ সভায় রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘সব্যসাচী’আখ্যা দিয়েছিলেন। রসস্রষ্টা ও বিচারকরূপে বঙ্কিমের সিদ্ধি উত্তরসূরি রবীন্দ্রনাথের সশ্রদ্ধ স্বীকৃতি লাভ করেছিল। উক্ত অভিভাষণে রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমের রসবোধ ও সংযমের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বঙ্কিম প্রতিভায় এই দু’এর সমন্বয় ঘটেছিল। ‘ধর্মতত্ত্ব’, ‘কৃষ্ণচরিত্র’, যে লেখনীতে রচনা করা সম্ভব, সেই লেখনীই ‘লোকরহস্য’,‘কমলাকান্তের দপ্তর’ এবং ‘মুচিরামগুড়ের জীবন রচিত’ রচনায় উল্লসিত হয়েছিল।চন্দ্রনাথ বসু লিখেছিলেন, ‘অভ্যাগতদিগের অভ্যর্থনা করিতেছি, এমন সময়ে একটা বিদ্যুৎ সভাগৃহে প্রবেশ করিল'। এই বিদ্যুৎ বঙ্গসাহিত্যের সব্যসাচী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীর এক বিশেষ লগ্নে ‘ বঙ্গদর্শনের সম্পাদক বঙ্কিম চন্দ্রেরআবির্ভাব। বঙ্কিম প্রতিভা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবধারাকে সাঙ্গীকৃত করেছিল বলেই বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে তাঁর খ্যাতি যুগপৎ স্রষ্টা ও সম্পাদক রূপে।         'বঙ্গদর্শন পত্রিকাকে কেন্দ্র করে তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভার অফুরন্ত বিকাশ ঘটেছিল।‘বঙ্গদর্

শ্বসনের, কোষ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

ছবি
  1.শ্বসনের দুটি উদ্দেশ্য লেখাে। উত্তর : শ্বসনের দুটি উদ্দেশ্য হল:        [i] শক্তি উৎপাদন,       [ii] বিভিন্ন বিপাকীয় কার্য নিয়ন্ত্রণ করা।    2. শ্বসনের খাদ্যমধ্যস্থ শক্তির মুক্তি ঘটে-ব্যাখ্যা করাে। উত্তর : প্রতিটি সজীব কোশে অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে খাদ্যবস্তুর জারণই হল শ্বসন। প্রতিটি সজীব কোশে শসনক্রিয়া ঘটে, শ্বসনের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, জল ও শক্তি উৎপন্ন হয়। এই উৎপাদিত শক্তি জীবদের যাবতীয় দৈহিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। শ্বসনই হল একমাত্র পদ্ধতি যেখানে খাদ্যবস্তুর জারণ ঘটে ও শক্তি উৎপাদন হয়। এই শক্তি আসে সূর্য থেকে, যা সালােকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্যের মধ্যে উৎসেচক আবদ্ধ হয়।      খাদ্যবস্তু (সৌরশক্তি) ➡  শক্তি + জল + কার্বন ডাইঅক্সাইড, তাই শ্বসনকে শক্তির মুক্তি বলে। 3.সবাত শ্বসন কাকে বলে ? উত্তর : যে-শ্বসন পদ্ধতিতে মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে জীবকোশথ খাদ্যশক্তি (প্রধানত গ্লুকোজ) সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড, জল ও বেশি পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে, তখন তাকে সবাত শ্বসন বলে। 4. মদ ও বিয়ার শিল্পে ইস্ট ব্যবহার করা হয় কেন ? উত্তর : ইস্ট এককোশী জীব, যা বায়ুর অ

জীবন প্রক্রিয়া সমূহ এবং মাটি সম্পর্কিত কিছু তথ্য

ছবি
 1. মাটির সর্বাপেক্ষা ওপরের স্তরটির নাম কী? এই স্তরে বসবাসকারী দুটি প্রাণীর নাম লেখাে। উত্তর : মাটির সর্বাপেক্ষা ওপরের স্তরটির নাম A-অনুভূমিক স্তর বা জৈবিক স্তর। 2. মাটির পরিলেখ বা নকশার ক-টি প্রধান স্তর দেখা যায় ও কী কী ? উত্তর : মাটির পরিলেখে প্রধানত এটি স্তর দেখা যায়। ওপর থেকে নীচে এগুলি হল A-অনুভূমিক স্তর, B-অনুভূমিক স্তর, C-অনুভূমিক স্তর ও D-অনুভূমিক স্তর। এই স্তরে বসবাসকারী দুটি প্রাণী হল পিঁপড়ে, শামুক। 3. রেগােলিথ কী ? উত্তর : আবহবিকার দ্বারা সৃষ্ট ভূপৃষ্ঠের শিথিল শিলাচূর্ণ যা বহুকাল ধরে বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকায় পরিণত হয় তাকে বলে রােগগালিথ। 4. Bedrock বা ভূমি স্তর কী ? উত্তর : C স্তরের নীচে অবস্থিত, কঠিন আদি শিলা দ্বারা গঠিত স্তরকে বলা হয় Bedrock বা ভূমিস্তর। এই স্তরটি 'D' স্তর নামেও পরিচিত। এই স্তরে বসবাসকারী দুটি প্রাণী হল ইঁদুর ও কেঁচো। 5. ইলুভিয়াল স্তর কাকে বলে ? উত্তর : A-অনুভূমিক স্তর থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ (লবণ) B-স্তরে জমা হয়, একে সঞ্চয়ন স্তর বা B-অনুভূমিক স্তর বলে। ইংরেজিতে একে ইলুভিয়াল স্তর বলে। 6. মাটির রং কালাে কেন হয় ? উত্তর

রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং সমীকরণ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
 Q. 1. রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে।     উত্তর : এক বা একাধিক পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনে পদার্থগুলির অণুর গঠন পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থের অণু গঠিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় রাসায়নিক বিক্রিয়া। এতে পদার্থের মূল উপাদান অর্থাৎ পরমাণুর সংখ্যার কোনাে পরিবর্তন হয় না।        যেমন, সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) এবং ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) এর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ক্যালশিয়াম সালফেট (CaSO4) লবন ও জল (H2O) উৎপন্ন হয়।         CaO+ H2SO = CaSo4 + H2O Q. 2. রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।    উত্তর : বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলির মধ্যে সমতা বজায় রেখে তাদেরকে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে লিখে কোনাে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বলা হয় রাসায়নিক সমীকরণ।   উদাহরণ : লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডে (H2SO) জিঙ্কের ছিবড়া (Zn) ফেললে জিঙ্ক সালফেট (ZnSO4) ও হাইড্রোজেন (H2) উৎপন্ন হয়। এই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক হল H2So4 এবং Zn; বিক্রিয়াজাত পদার্থ হল ZnSO4 এবং H2।  এই বিক্রিয়ার সমীকরণটি হল,           H2So

অম্ল, ক্ষার এবং লবণ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

ছবি
 Q.1. বিলীয়মান রং কী এবং এর এরুপ নামকরণের কারণ কী? উত্তর: ফেনলপথ্যালিনযুক্ত অ্যামােনিয়াম হাইড্রক্সাইডের জলীয় দ্রবণকে বিলীয়মান রং বলে। অ্যামােনিয়াম হাইড্রক্সাইডের জলীয় দ্রবণ একটি মৃদু ক্ষার। এতে কয়েক ফোটা ফেনলথ্যালিন যােগ করলে দ্রবণের বর্ণ লালচে-গােলাপি হয়। এই গােলাপি দ্রবণ সাদা জামা কাপড়ের ওপর ছিটিয়ে দিলে তা প্রথমে গােলাপি হয়। পরে এই রং থেকে উদ্বায়ী অ্যামােনিয়া ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত হয়ে যায়, ফলে কাপড়ের গোলাপি রং অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই একে বিলীয়মান রং বলা হয়। Q.2. ধাতব পাত্রে অ্যাসিড রাখা হয় না কেন? উত্তর : ধাতুগুলি বিভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন অ্যাসিডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। যেমন – সােডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, কপার, আয়রন প্রভৃতি ধাতুঅজৈব অ্যাসিডের সঙ্গে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। অ্যালুমিনিয়াম, জিংক, আয়রন প্রভৃতি ধাতুগুলি অজৈব অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে। তাই ধাতব পাত্রে সাধারণত অ্যাসিডগুলিকে রাখা হয় না। Q.3. সমস্ত হাইড্রোজেনে যুক্ত যৌগ অ্যাসিড নয় কেন? উত্তর : অ্যাসিডের সংজ্ঞানুসারে

তড়িৎ প্রবাহের চুম্বকীয় ফল ও চুম্বকক্ষেত্র সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর

ছবি
 Q.1.লেঞ্জের সুত্র থেকে কীভাবে শক্তির সংরক্ষণ সূত্র পাওয়া যায় ? উত্তর : লেঞ্জের সূত্রানুযায়ী তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশের ক্ষেত্রে আবিষ্টতড়িচ্চালক বলের অভিমুখ এমন হয় যেন এই আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল বর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টির কারণকে বাঁধা দিতে পারে। অর্থাৎ কুন্ডলীর কাছে চুম্বক নিয়ে যেতে গেলে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল এই গতিকে বাধা দেবে আবার চুম্বককে দূরে নিয়ে যেতে গেলেও গতিকে বাধা দেবে। ফলে চুম্বক বা কুন্ডলী যে কোনাে একটিকে আপেক্ষিক ভাবে গতিশীল করতে হলে এই বাধা বলের বিরুদ্ধে কার্য করতে হবে। এই কার্যই তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট করবে এবং শক্তির সংরক্ষন নীতি বজায় রাখবে। অর্থাৎ লেঞ্চের সূত্র থেকে শক্তির সংরক্ষণ সূত্র পাওয়া যায়। Q.2. একটি এরােপ্লেন অনুভূমিকভাবে উড়ে যাওয়ার সময় তার ডানার দুই প্রান্তবিন্দুর মধ্যে বিভবপ্রভেদ সৃষ্টি হয় কেন ? এই বিভব প্রভেদ কী কী বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ? উত্তর : একটি উড়ােজাহাজ ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে অনুভূমিকভাবে যখন উড়ে যায়, তখন তার ডানা দুটি মিশে যে দীর্ঘ পরিবাহী তৈরি করে, তা ক্রমাগতভূ চৌম্বক ক্ষেত্রের বলরেখাগুলিকে ছেদ করতে থাকে। এর ফলে ওই পরিবাহীতে তড়িৎচুম্বকীয় আবে

রসায়নের কিছু প্রশ্ন

ছবি
 প্রঃ1. বিশুদ্ধ দুধের pH হল 6। ইহা দইয়ে রূপান্তরিত হলে pH এর মান কীরূপ পরিবর্তন হবে বলে তুমি মনে করাে? তােমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। [CBSE 2011, 2012, 2015]। উত্তর : বিশুদ্ধ দুধের pH হল 6! ইহা দইয়ে রূপান্তরিত হলে pH এর মান 6-এর নীচে নেমে আসবে। কারণ দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ায় দুধ দইয়ে পরিণত হয়। প্রঃ2. একজন দুধওয়ালা বিশুদ্ধ দুধের সাথে সামান্য পরিমাণ খাবার সােড়া যােগ করেন। [CBSE 2011, 2017] (a) কেন তিনি বিশুদ্ধ দুধের থেকে পরিবর্তন করে সামান্য ক্ষারীয় কারেন? (b) কেন এই দুধ দইয়ে জমা হতে অধিক সময় নেয় ? উত্তর : (a) বিশুদ্ধ দুধে খাবার সােডা অর্থাৎ বেকিং সােডা যােগ করলে plI-এর মান বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ ক্ষারীয় হয়। এর ফলে দুধ সহজে দই-তে পরিণত হতে পারে না। ফলে দুধ দীর্ঘক্ষণ ভালাে থাকে। (b) বিশাল দুধের pH সাধারণত 6-এর কাছাকাছি হয়। এর মধ্যে খাবার সােডা যােগ করলে দুধ ক্ষারীয় হয়। ফলেসা মান্য ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হলেও তা ওই ক্ষারীয় মাধ্যমে প্রশমিত হয়ে যায়। প্রঃ 3. প্লাস্টার অব প্যারিসকে আর্দ্রতামুক্ত পাত্রে রাখা হয় কেন? [CBSE 2013] উত্তর : প্লাস্টার অব প্যারিস একটি স

বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য

ছবি
 মানুষ বদলে গেলেও, ছবি কিন্তু বদলায় না'! বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য।            প্রত্যেক বছরের 19 আগস্ট পৃথিবী জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস একজন আর্টিস্টের অন্তর্নিহিত কিছু বক্তব্যকে তুলে ধরতে হলে তার কিছু তথ্য কে তুলে ধরা দরকার। একজন ফটোগ্রাফারের ক্ষেত্রে তার ধারা তুলা কোন ফটো হতে পারে।  এই বক্তব্য গুলি মাথায় রেখেই 19আগস্ট এর দিনটিকে বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।            ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা একটি আর্ট। কোন সাহিত্য বা গল্পের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কে বোঝানোর জন্য এই ফটো অত্যন্ত জরুরী একটি মাধ্যম। বলা যেতে পারে যদি কোন সাহিত্যে একটি ফটো যুক্ত করা হয় তাহলে কিন্তু খুব দ্রুত মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।             ফটোগ্রাফির ইতিহাস পেতে গেলে আমাদের যেতে হবে 1830 দশকের দিকে , এক ব্যাক্তি যার নাম ছিল লুই ডাগে। সর্বপ্রথম তিনিই ফটোগ্রাফির বিভিন্ন তথ্য আবিষ্কার করেন, যার নাম ছিল 'ডাগেরোটাইপ'। আর ফরাসি সরকার ওই বছরেরই ১৯ অগাস্ট বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে শুরু হয়ে গেল বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস।             মানুষের দ্বার

ফটোগ্রাফির ব্যবসা কিভাবে করবেন

ছবি
ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন? জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।         ডিজিটাল ক্যামেরা আসার পর থেকে ফটোগ্রাফিতে এক বিশাল পরিবর্তন এসেছে। প্রয়োজনীয় ফটো তোলা সামগ্রী যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনি পরিবর্তন হয়েছ ফটোগ্রাফির প্রতি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।          ফটোগ্রাফির ব্যবসা করার প্রথম শিক্ষনীয় বিষয়টি হলো ফটো তোলার দক্ষতা, ফটো তোলার প্রতি আপনার আত্মবিশ্বাস এবং বিভিন্ন ধরনের লেন্স ব্যবহারের দক্ষতা আপনাকে একজন সুনির্দিষ্ট প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার বানিয়ে ফেলবে।          আমাদের ভারতবর্ষের বাজারে আপনার প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।          আসুন আজ আমরা জেনে নেই ভারতবর্ষে ফটোগ্রাফি করতে হলে কি কি ছোট ছোট ধাপ আমাদের জানতে হবে। 1.বাছাই করে নিন আপনার ফটোগ্রাফির ক্ষেত্র।          প্রথমেই সব ঠিক করে নিতে হবে যে কী ধরনের ছবি আপনি তুলতে ভালোবাসেন। পর্ট্রেট ফটোগ্রফি, ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি, মডেল ফটোগ্রাফি, কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফি, ফুড ফটোগ্রাফি, অ্যাস্ট্রো ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি এমন অনেক অপশন আপনার কাছে আছে। এখান থেকে আপনার বাছাই করতে হবে কোনটি আপনা

ফোটোগ্রাফি কত প্রকার ও কিকি? (Types of Photography)

ছবি
 ফটোগ্রাফি কত প্রকার ও কি কি          ফটোগ্রাফির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত৷ সবাই কমবেশি আমরা অল্প একটু ফটোগ্রাফি করে থাকি ৷ তাহলে চলুন জেনে নেই ফটোগ্রাফিক কত ধরনের আছে ও কি কি?  পৃথিবীতে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি বর্তমান আছে। এদের মধ্যে কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন এবং কিছু কিছু ফটোগ্রাফি আপনার জীবনে প্যাশন এর রূপ হিসেবে দাঁড়ায়।  তাদের মধ্যে কিছু ফটোগ্রাফির সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। 1. ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি         প্রাকৃতিক জিনিস গুলিকে যদি আপনি ক্যামেরাবন্দী করেন বিশেষত এই সব ছবিগুলিকে একসাথে ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি বলা হয় ৷ আমাদের আশে পাশে যে প্রকৃৃতি আছে যেমন: পাহাড় পর্বত, ভূখন্ড, নদী নালা, বন জঙ্গল ইত্যাদির ছবি তুললে সেটি হবে ল্যান্ডস্কেপ ফোটোগ্রাফি৷  2. পোট্রেট ফোটোগ্রাফি          পোট্রেট হচ্ছে কোন একজন মানুষের ছবি৷ আমার যদি কোন মানুষকে আমাদের ক্যামেরাবন্দি করি তাহলে সেটি হবে পর্ট্রেট ফটোগ্রফি। মোবাইল দিয়ে সেলফি তোলা ফটো ও হতে পারে একটি পর্ট্রেট ফটোগ্রফি৷ 3. ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি        মূলত বন্য প্রাণীকে ক্যামেরাব